উত্তর প্রদেশ এর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ !

Date:

Share post:

উত্তর প্রদেশ এর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ -বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ !

Uttar Pradesh Chief Minister Yogi Adityanath – Learn how to communicate with Bengal!

সমাজ বিকাস সংবাদ,
কলকাতা,

উত্তর প্রদেশ এর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ – জানুন বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ, যোগী সম্প্রদায় কি ও কারা ? মঠ বা গোরক্ষনাথের প্রভাব, নন কোয়াপরেশন মুভমেন্টে যোগ দেন তরুন সন্ন্যাসী দিগ্বিজয়নাথ!

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হলেন গোরক্ষনাথ মন্দিরের পীঠাধীশ্বর ও মহন্ত যোগী

আদিত্যনাথ। কে এই যোগী? খবরের কাগজে নিউজ চ্যানেলে তো অনেক কিছুই

ভেসে আসছে… জানেন কি কিছু, এই যোগী সম্প্রদায় এবং গোরক্ষনাথ মন্দির ও

মঠ সম্বন্ধে? বা; বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ !  

নেপাল সীমানাবর্তী উত্তরপ্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর গোরক্ষপুর।

সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে থাকা নাথ সম্প্রদায় এবং নাথপন্থী যোগীদের প্রধান তীর্থকেন্দ্র

হল এই শহরের গোরক্ষমঠ।যোগী গোরক্ষনাথের ধুনি এখনো প্রোজ্জ্বলিত এই মঠে।

তার নামেই শহরের নাম। শহরের আর একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম গীতা প্রেস।

ভারতবর্ষে রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই এই মঠের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

আধুনিক ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই মঠ প্রথমে গান্ধীজীর সাথেই ছিল।

১৯৩২ সালে যোগী ব্রহ্মনাথের পর এই মঠের মহন্ত হন দিগ্বিজয়নাথ।

সেন্ট এ্যান্ডুজ কলেজ থেকে স্নাতক লং টেনিসের ভক্ত এই দিগ্বিজয়নাথ

ভারতীয় রাজনীতির এক বিতর্কিত চরিত্র।

 

যোগী আদিত্যনাথ-বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ!

ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে গান্ধীজীর নন কোয়াপরেশন মুভমেন্টে যোগ দেন তরুন সন্ন্যাসী দিগ্বিজয়নাথ!

১৯২২ সালে ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে গান্ধীজীর নন কোয়াপরেশন মুভমেন্টে যোগ দেন

তরুন সন্ন্যাসী দিগ্বিজয়নাথ । কিন্তু তাঁর উপস্থিতিতেই চৌরিচৌরাতে ২৩ জন পুলিশকে

পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। গ্রেফতার হন দিগ্বিজয়নাথ। যার ফলশ্রুতিতে গান্ধীজী

আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। তখন থেকেই তীব্র গান্ধী বিরোধী তিনি।

১৯৩২ সালে মহন্ত হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর সাভারকর তাঁকে ১৯৩৭ সালে

অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভায় যোগদান করান। দেশ স্বাধীন হবার পরেপরেই

মহাত্মা গান্ধীকে হুমকি দিয়ে জেলেও যেতে হয় তাকে। ১৯৪৯ সালে এই

দিগ্বিজয় নাথের হাত দিয়েই নতুন করে রাম জন্মভূমি আন্দোলন শুরু হয়।

অযোধ্যায় টানা নদিন রামচরিত মানস পাঠের পর দশম দিন বাবরি মসজিদে ঢুকে

রাম সীতার মূর্তি বসিয়ে দিয়ে আসেন এই যোগী!

 

যোগী আদিত্যনাথ-বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ ! দিগ্বিজয় নাথ পরবর্তীকালে ভোটে জিতে সংসদ হয়েছিলেন।

দিগ্বিজয় নাথ পরবর্তীকালে ভোটে জিতে সংসদ হয়েছিলেন। ১৯৬৯ তে তাঁর মৃত্যুর পর

মহন্ত হন অবৈদ্যনাথ। তিনিও টানা বহুবছর সংসদ ছিলেন। ১৯৯৮ সালে

নিজের লোকসভা আসনটি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন শিষ্য আদিত্যনাথকে।

সেই থেকে টানা পাঁচ বারের সংসদ বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই যোগী সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী।

স্বাধীন ভারতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতির মধ্য দিয়েও এই  যোগী সন্ন্যাসী সম্প্রদায়

গোরক্ষপুর ও উত্তরপ্রদেশের উত্তর পুর্বাঞ্চলে তাদের জনপ্রিয়তা ও প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখতে

পেরেছে। যদিও আধুনিক উন্নয়নমুখী ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ দের কাছে

যোগী আদিত্যনাথ হল উগ্র হিন্দুত্ববাদের মুখ। নগরমুখী ইন্ডিয়ার সাথে

সনাতন ভারতবর্ষের এই ফারাক দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।

 

যোগী আদিত্যনাথ— এই যোগী সম্প্রদায় কি ও কারা।

যোগী সম্প্রদায় কি ও কারা ? হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপাল থেকে বেশ কিছু পুঁথি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

তা তিনি “হাজার বছরের পুরোন বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে প্রকাশ করেন।

বাঙালি বৌদ্ধ ও শৈবতান্ত্রিক সিদ্ধেরা অপভ্রংশে সাধন সম্বন্ধীয় যে সকল পদ

রচনা করতেন তা ‘দোহা’ নামে পরিচিত।

সুনীতিবাবু এই দোহাগুলোকেই বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপ বলে বলেছেন।

এই পদের অন্যতম রচয়িতা লুইপা বা মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ। এই মীননাথকেই

এখনো পর্যন্ত নাথ যোগী সম্প্রদায়ের আদিগুরু হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে।

পরবর্তীকালে ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী নেপাল থেকে মীননাথ রচিত আরো কিছু

পুঁথি উদ্ধার করেন।

বাংলাদেশের সাথে নাথযোগীদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকায় নাথপন্থের অনেক পুঁথি

বাংলায় রচনা করা হয়। বৌদ্ধযুগের সিদ্ধ ও সাহিত্যের সাথে নাথেদের নাম যুক্ত হয়ে

পড়ায় ভ্রান্তিবশত অনেকেই তাদের বৌদ্ধযোগী ভাবতেন, অনেকের ধারনা ছিল তারা

জৈন থেকে পরবর্তী কালে হিন্দু হয়েছেন কিন্তু আসলে তাঁরা ছিলেন শৈব।

 

যোগী আদিত্যনাথ-বঙ্গের সঙ্গে তার কিভাবে যোগাযোগ ! – মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ নেপালে শৈবধর্ম প্রচার করতে যান।

মীননাথ বা মৎস্যেন্দ্রনাথ নেপালে শৈবধর্ম প্রচার করতে যান। তিনি শৈব যোগী হলেও

নেপালি বৌদ্ধদের মধ্যে চতুর্থ বোধিসত্ত্ব রূপে উপাস্য হন। তাঁর শিষ্য এবং

অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাথ যোগী গোরক্ষনাথ। নেপালের মুদ্রায় তার নাম অঙ্কিত হয় এবং

পশুপতিনাথ তুল্য সম্মান তিনি নেপালি হিন্দুদের মধ্যে পান। এই গোরক্ষনাথের

নামেই ভারতের বিভিন্ন যায়গায় মঠ এবং মন্দির আছে।

গোরক্ষপুর শহরটিও তারই নামানুসারে।

মীননাথ ও গোরক্ষনাথ দুজনেই বাঙালী ছিলেন। গোরক্ষ রচনাবলী হিন্দি সাহিত্যের

মূল উৎস স্বরূপ ধরা হয়। এই গোরক্ষনাথকে কালিঘাটের কালিমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বলে

অনেকেই মনে করেন। মীননাথ ও গোরক্ষনাথকে দশম শতাব্দীর যোগী বলে মনে করা

হয়। তার আগের যোগীদের সম্বন্ধে তেমন কিছু তথ্য পাওয়া যায় না। বৌদ্ধধর্মের পতনের

যুগেই নাথধর্মের বা নাথপন্থের অভ্যুদয় বলে মনে করা হয়।

নাথযোগীদের আর এক মহন্ত ছিলেন চৌরঙ্গীনাথ। যার আশ্রমের উল্লেখ পুরোন

কলিকাতার অনেক তথ্যে পাওয়া যায়। চৌরঙ্গীনাথের আশ্রম থেকেই স্থানটির

নাম বর্তমানে চৌরঙ্গী হয়েছে।

বর্তমানে নাথযোগীরা হিন্দু বা বলা ভাল ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মূলস্রোতে মিশে গেলেও

বহু অঞ্চলে এখনো যোগীপাড়া বা যোগাশ্রম আছে। সেখানে কালি শিবের মাঝে

গোরক্ষনাথের মূর্তিও পূজিত হয়।

 

যোগী আদিত্যনাথ – বাঙালি নাথযোগীদের মধ্যে মঠ বা গোরক্ষনাথের প্রভাব!

বাঙালি নাথযোগীদের মধ্যে মঠ বা গোরক্ষনাথের প্রভাব এখন আর তেমন দেখা যায় না।

নাথপন্থীদের বারোটি শাখা আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদের দ্বাদশপন্থ বলে।

দ্বাদশ বৎসরান্তে মহাকুম্ভতে বিভিন্ন শাখা থেকে এদের কার্যনির্বাহক নির্বাচন হয়।

তারা মঠ পরিদর্শন এবং মোহান্ত নির্বাচন করেন।

এই দ্বাদশপন্থীরা নিজেদের কানফাট্টা বলে পরিচয় দেন। তন্ত্র এবং

যোগ সাধনায় সিদ্ধির স্তরে পৌছালে কানের লতি চিরে তারা কুন্ডল ধারণ করেন।

তার মানে তারা মুখের নয় অন্তরের কথাও শোনার প্রজ্ঞা অর্জন করেছেন।

এই ভারতবর্ষকে খুব কম লোকই চেনেন।জানার চেষ্টা আরো কম মানুষ করেন।

কিন্তু এনারা আছেন। সনাতন বিভিন্ন পথ মত ধর্মের গোষ্ঠীগুলোকে হিন্দুত্বের

ছাতার তলায় আনার চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে।

হিন্দু কি এবং কে এ এক বিচিত্র জটিল প্রশ্ন এই দেশে।

উত্তর প্রদেশ এর মুখ্যমন্ত্রী, যোগী আদিত্যনাথ, বঙ্গের সঙ্গে  যোগাযোগ, গোরক্ষনাথের প্রভাব

Samaj Ki Vikas, Samaj Samvad, Samaj Ka Samvad, Samaj Ki Samvad, Vikas,

Society News, News of Development, Development News,

samaj, samaj vikas, samaj samvad, vikas, vikas samvad, samvad.

সমাজ, সমাজ বিকাশ, সমাজ সংবাদ, বিকাশ, বিকাশ সংবাদ, সংবাদ, সমাজ বিকাশ সংবাদ

व्यापार संवाद, आयुर्वेद संवाद, गैजेट्स संवाद, समाज विकास संवाद

2 COMMENTS

Leave a Reply

Related articles

गंगा नदी का पौराणिक मान्यता क्या है ? गंगा नदी कहा है ? गंगा जल क्या है ?

गंगा नदी का पौराणिक मान्यता क्या है ? गंगा नदी कहा है ? क्या है गंगा की महत्व ? गंगा जल क्या है ? गंगा जल पवित्र कियूं है?भारतीय वैदिक सनातन धर्म की प्रतिक गंगा नदी भारत एवं इनके प्रतिवेशी देश बांग्लादेश की एक महत्वपूर्ण एवं प्रमुख नदी है।हालाँकि, बांग्लादेश में यह पद्मा नदी के नाम से प्रसिद्द है, एवं भारत में बंगाल की खाड़ी में विलय के पूर्व इन्हें भागीरथी के नाम से पुकारा जाता है!

लोकसभा – विधानसभा उप चुनाव 2022 में भाजपा की भारी जित!

लोकसभा - विधानसभा उप चुनाव 2022 में भाजपा की भारी जित!समाजवादी गढ़ रामपुर और आजमगढ़ दोनों ही भाजपा के खाते में गए हैं,जहां घनश्याम लोधी और दिनेश लाल यादव ( निरहुआ ) विजयी हुए हैं।बीजेपी ने त्रिपुरा में दो सीटें- टाउन बारदोवाली और जुब्रानगर-- जबकि कांग्रेस ने अगरतला जीती।

क्या है गुड़ी पाड़वा? ‘गुड़ी’ का अर्थ क्या है?  हिन्दू समाज में नववर्ष की शुरुआत कब से?

नववर्ष उत्सव मानाते समय हमारे मन में कई प्रश्न जागता है की, क्या है गुड़ी पाड़वा? 'गुड़ी' का अर्थ क्या है? हिन्दू समाज में नववर्ष की शुरुआत कब से हुआ? कियूं महत्वपूर्ण है गुड़ी पारवा? कैसे मनाएं गुड़ी पाड़वा? इतिहास में वर्ष प्रतिपदा की क्या है परंपरा?इन प्रश्नावली के उत्तर में यह जानना एवं मानना अत्यावश्यक है की भारत की सनातन हिन्दू परंपरा में नववर्ष उत्सव अति महत्वपूर्ण होता है , चैत्र शुक्ल प्रतिपदा से प्रारम्भ होता है हिन्दू नववर्ष, भारत की पश्चिम भू भाग, विशेषतः महाराष्ट्र एवं गोवा राज्य में यह उत्सव गुड़ी पड़वा के रूप में प्रसिद्द है.

Democracy Derailed: Post-poll Violence–2021 West Bengal and 2001 Bangladesh-Drawing Parallels!

Democracy Derailed: Post-poll Violence – 2021 West Bengal and 2001 Bangladesh- Drawing Parallels! By, Deep Biswas (Writer and Researcher, Terrorism...